ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গত বুধবার মধ্যরাত থেকে একটানা বৃষ্টি ঝরছিল। বৃহস্পতিবার দেশের অনেক অঞ্চলেই দেখা মেলেনি সূর্যের। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে আসা মেঘমালা থেকে সৃষ্ট এই বৃষ্টি আজ শুক্রবার অনেকটাই কমতে পারে।
দেখা মিলতে পারে ঝলমলে রোদের। ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম গত মঙ্গলবার ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়টি লঘুচাপে পরিণত হয়। আবার বৃষ্টি হওয়ায় আকাশে জড়ো হওয়া মেঘও কেটে যাচ্ছে। বাতাসের জলীয় বাষ্প কমে গেলে ও আকাশ মেঘমুক্ত হলে অনেকটাই কমে যাবে তাপমাত্রা। ফলে আগামী দু-তিন দিনের মধ্যেই জেঁকে বসতে পারে শীত।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে যশোরে, ৯৬ মিলিমিটার। এ ছাড়া ফরিদপুরে ৫৭ মিলিমিটার এবং গোপালগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গায় ৪৬ মিলিমিটার। ঢাকায় এ সময় ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের কারণে সৃষ্ট মেঘ থেকে এই বৃষ্টি হচ্ছে। আগামীকাল (আজ) থেকে অনেকটাই কমে যেতে পারে। যশোরে ৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এটা বড় বৃষ্টি। ডিসেম্বর মাস বিবেচনায় এটা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। তবে সামনের দিনগুলোতে রাতের তাপমাত্রা কমবে। এখন থেকে ক্রমে বাড়বে শীতের অনুভূতি।’
এদিকে আজও দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বৃষ্টিও হতে পারে কোথাও কোথাও। আজ শুক্রবার দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আগামীকাল শনিবার থেকে পুরোপুরি শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে দেশে। দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে ১ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।