বৃষ্টি কমে গিয়ে দেশের পাঁচ বিভাগে তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে তিন বিভাগে বেশি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। কাগজে-কলমে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে বর্ষাকাল।
তবে গত কয়েক দিন ধরেই দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর (বর্ষা) প্রভাবে সারাদেশে বৃষ্টি হচ্ছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর এখন মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে।
ঢাকায় কোন বৃষ্টি হয়নি। বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে দেশের কয়েকটি অঞ্চলে তাপপ্রবাহও বইছে। বুধবার তা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়াবিদরা। মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রাজশাহীতে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুল হামিদ মিয়া জানান, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায়।
এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এ সময়ে ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী ও পাবনা জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়- রংপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, নোয়াখালী,
কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘন্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।